, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্ব পেল সিআরবিসি, সাশ্রয় ১৫ কোটি টাকা

  • আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৪ ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৪ ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্ব পেল সিআরবিসি, সাশ্রয় ১৫ কোটি টাকা
এবার টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণের দা‌য়ি‌ত্ব পে‌য়ে‌ছে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর‌পো‌রেশন (সিআরবিসি)। গতকাল শ‌নিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১ মি‌নি‌ট থেকে সেতুতে দা‌য়িত্ব পালন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা কমে দরদাতা হিসেবে সিআরবিসি বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণ কাজের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে। আগামী ৫ বছর তারা তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা এই দায়িত্ব পালন করবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে বাংলা‌দেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ৭৪ কো‌টি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬২১.১৫ টাকা প্রাক্ক‌লিত টাকার সর্বনিম্ন দরদাতা হি‌সেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) কোম্পানি‌কে ৫৯ কো‌টি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪ দশ‌মিক ১৪ টাকা মূল্যে কার্যা‌দেশ দেওয়া হয়। ফলে প্রাক্কলিত মূল্য হতে সরকারের ২০.২১% অর্থ‌্যাৎ ১৫ কো‌টি ১১ লাখ ৩৩ হাজার ১১৭ টাকা সাশ্রয় হয়। এতে ওই কোম্পানি পরবর্তী ৫ বছর সেতুর টোল আদায় ও পরিচালনা কার্যক্রম তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালনা করবে। 
 
বাংলা‌দেশ সেতু কর্তৃপ‌ক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয়ী হলেও টোল কমানোর কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করতে হবে। ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। টোল থেকে কোনো যানজট সৃষ্টি হয় না। অনেক সময় অতিরিক্ত গাড়ি টোলে চলে আসায় একটু সমস্যা হয়। সেটা বেশিক্ষণ থাকে না।

এদিকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ইতোম‌ধ্যে কার্যা‌দেশ পে‌য়ে রাত ১২টার পর থে‌কে নতুন কোম্পানি টোল আদায় শুরু করেছে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় মূল্যে ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা এবং যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি পারাপার করা যাবে।

এখানে অনলাইনে টোল দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকটা লাইনে ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবহারকারী যদি টোল কালেকশন সিস্টেমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে তাহলে টোল পারাপারের সময় তারা অনলাইনে টোল দিতে পারবে। সরাসরি টোলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকাটা জমা হয়ে যাবে। এতে টোলে কোনো ট্রাফিক জ্যাম হবে না। একদিকে সরকারের ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্যদিকে জনগণও কম সময়ে দ্রুততার সঙ্গে টোল প্লাজা দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবে।
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্বে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত: মাইক্রোসফটের সমীক্ষা

বিশ্বে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত: মাইক্রোসফটের সমীক্ষা